Yes, My Accent is Real: Kunal Nayyar
গত বছর টিভি সিরিজ দেখে অনেক সময় কাটিয়েছি।
বিশেষ করে The Big Bang Theoryর সিজন ১ থেকে ৮ পর্যন্ত দেখেছি। এখন ৯ চলছে।
বিগ ব্যাং-এর রাজ তথা রাজেশ কুথ্রপলিকে নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই।
শেলডন, লিওনার্ড, হাওয়ার্ড কিংবা পেনীর থেকে কিছুটা কম হাইলাইটেড চরিত্র। তবুও উজ্জ্বল। আসল নাম কুনাল নায়ার।
গত বছর হায়েস্ট পেইড টিভি অভিনেতার তালিকায় ৩য় ছিল কুনাল।
কুনালের লেখা ১ম বই "Yes, My Accent Is Real: and Some Other Things I Haven't Told You" প্রকাশিত হয়েছে গত বছর সেপ্টেম্বরে।
শুরুতেই কুনাল বলেছে - এটা কোনো আত্মজীবনী নয়, বরং জীবনের বিভিন্ন না বলা গল্প।
৩৪ বছর বয়েসী গল্প কেমন হতে পারে?
অনেক গল্প স্ট্রাকচার্ড।
ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে অ্যামেরিকা পড়তে গেলে সাইকোলজিক্যাল ও কালচারাল শকের গল্পগুলো খুব কমন।
তবে কুনাল বলেছে তার নিজস্ব ভঙ্গিতে। মাঝে মাঝে হাল্কা রঞ্জন মনে হয়েছে। তবে, সাবলীল ছিল।
জিকোর সাথে বন্ধুত্ব। নারী সংক্রান্ত অস্বস্তি ও সুপ্ত ইচ্ছা। মিশতে না পারার এবং নিজের বাদামী চামড়াকে দায়ী করার গল্পগুলো দারুণ।
সর্বোপরি মনে হয়, কুনাল নিজের জীবন নিজেই বানিয়েছে। পাল্টিয়েছে ২ বছরে। টয়লেট ক্লিন করেছে, গান গেয়েছে, নেচেছে, অভিনয় করেছে। সমালোচিত ও নিন্দিত হয়েছে বারবার। পাবলিক বাসে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। চোখের পানি লুকিয়েছে, কিন্তু হেরে যায় নি।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে - কুনাল জানতো সে কী, এবং কী চায়।
সে বুঝে গিয়েছিল সে অভিনয়ের লোক। তাই বিজনেস স্কুল থেকে ফাইন আর্টসে গিয়ে মাস্টার্স করেছে। ভিসা ফুরানোর চরম ক্রান্তির দিনগুলোতেও আশাহত হয়নি। কাঁচা মাছ মাংসের হোটেলে কাজ করেছে।
আর প্রেম?
সে যেন - বিগ ব্যাং থিয়রির রাজের মতোই ভাগ্য।
চোখে চুমু খেয়ে যে তরুণীকে আপন করতে চেয়েছিল সে, জন্মদিনে ব্যান্ড দল নিয়ে যাকে বাসায় গিয়ে নেচে গেয়ে চমকে দিয়েছিল, সে তরুণী তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে বুক ভেঙে। সবুজ ভ্যানের মাসলওলা সুঠাম আমেরিকান যুবকের সামনে ভারতীয় কুনাল কেবল শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও তুচ্ছ। ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয়ার চেয়েও বড় বেদনা বোধ হয় ফেরানোর সময় নতুন করে কিছু ভালোবাসা দেয়া। ছয় ঘন্টার ড্রাইভ করে শহরে ফেরার সময় কুনাল কি কেবল ভেঙে যাওয়া প্রেমের বেদনাই আনে, নাকি আনে পূর্বরাতের সঙ্গম স্মৃতি, টিফিন বক্সে নাস্তা? ফেরার পথে গাড়িতে তেল নেয়ার সময় জাপানী তরুণীর এসএমএস না পেলেও কুনাল কি একা থাকত?
না, মনে হয় না।
বিভিন্ন তরুণীর সঙ্গে প্রেম আর সম্পর্কের পাশাপাশি কুনালের জীবনে তার বাবার প্রভাবের গল্পগুলো এসেছে ঘুরে ফিরে। বিয়ের গল্প লম্বা ছিল, নেহা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কের অনেক কিছু না বলা রয়ে গেছে বইতে, তবে ভারতীয় কালচারের (বিশেষ করে বিয়ে অনুষ্ঠানের) ব্র্যান্ডিং হয়েছে ভালো।
বিশেষ আগ্রহ ছিল, বিগ ব্যাং-টীমের সাথে তার যোগাযোগ কীভাবে হয়েছিল, কী ঘটেছিল।
সে চ্যাপ্টার কুনাল অল্প পরিসরে যথেষ্ঠ নাটকীয়তা নিয়ে লিখেছে।
প্রশ্ন জাগে - কেন এই বই লেখা বা কী হলো এই বই পড়ে?
এই বই মূলতঃ ভেঙে না পড়ার গল্প। বারবার ইমোশনাল ব্রেক ডাউন সামাল দেয়ার গল্প।
অঞ্জন যেমন গেয়েছে তেমন অনেক হেরে গিয়েও হার স্বীকার না করার গল্প।
কুনালের কাছে আরেকটা বইয়ের আশা থাকলো, হয়তো অনেক দিন পরে - শুধু বিগ ব্যাং থিয়রী মানুষগুলো নিয়ে লেখা হবে সে বই।
পড়বো ঐ বই।
বিশেষ করে The Big Bang Theoryর সিজন ১ থেকে ৮ পর্যন্ত দেখেছি। এখন ৯ চলছে।
বিগ ব্যাং-এর রাজ তথা রাজেশ কুথ্রপলিকে নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই।
শেলডন, লিওনার্ড, হাওয়ার্ড কিংবা পেনীর থেকে কিছুটা কম হাইলাইটেড চরিত্র। তবুও উজ্জ্বল। আসল নাম কুনাল নায়ার।
গত বছর হায়েস্ট পেইড টিভি অভিনেতার তালিকায় ৩য় ছিল কুনাল।
কুনালের লেখা ১ম বই "Yes, My Accent Is Real: and Some Other Things I Haven't Told You" প্রকাশিত হয়েছে গত বছর সেপ্টেম্বরে।
শুরুতেই কুনাল বলেছে - এটা কোনো আত্মজীবনী নয়, বরং জীবনের বিভিন্ন না বলা গল্প।
৩৪ বছর বয়েসী গল্প কেমন হতে পারে?
অনেক গল্প স্ট্রাকচার্ড।
ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে অ্যামেরিকা পড়তে গেলে সাইকোলজিক্যাল ও কালচারাল শকের গল্পগুলো খুব কমন।
তবে কুনাল বলেছে তার নিজস্ব ভঙ্গিতে। মাঝে মাঝে হাল্কা রঞ্জন মনে হয়েছে। তবে, সাবলীল ছিল।
জিকোর সাথে বন্ধুত্ব। নারী সংক্রান্ত অস্বস্তি ও সুপ্ত ইচ্ছা। মিশতে না পারার এবং নিজের বাদামী চামড়াকে দায়ী করার গল্পগুলো দারুণ।
সর্বোপরি মনে হয়, কুনাল নিজের জীবন নিজেই বানিয়েছে। পাল্টিয়েছে ২ বছরে। টয়লেট ক্লিন করেছে, গান গেয়েছে, নেচেছে, অভিনয় করেছে। সমালোচিত ও নিন্দিত হয়েছে বারবার। পাবলিক বাসে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। চোখের পানি লুকিয়েছে, কিন্তু হেরে যায় নি।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে - কুনাল জানতো সে কী, এবং কী চায়।
সে বুঝে গিয়েছিল সে অভিনয়ের লোক। তাই বিজনেস স্কুল থেকে ফাইন আর্টসে গিয়ে মাস্টার্স করেছে। ভিসা ফুরানোর চরম ক্রান্তির দিনগুলোতেও আশাহত হয়নি। কাঁচা মাছ মাংসের হোটেলে কাজ করেছে।
আর প্রেম?
সে যেন - বিগ ব্যাং থিয়রির রাজের মতোই ভাগ্য।
চোখে চুমু খেয়ে যে তরুণীকে আপন করতে চেয়েছিল সে, জন্মদিনে ব্যান্ড দল নিয়ে যাকে বাসায় গিয়ে নেচে গেয়ে চমকে দিয়েছিল, সে তরুণী তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে বুক ভেঙে। সবুজ ভ্যানের মাসলওলা সুঠাম আমেরিকান যুবকের সামনে ভারতীয় কুনাল কেবল শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও তুচ্ছ। ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয়ার চেয়েও বড় বেদনা বোধ হয় ফেরানোর সময় নতুন করে কিছু ভালোবাসা দেয়া। ছয় ঘন্টার ড্রাইভ করে শহরে ফেরার সময় কুনাল কি কেবল ভেঙে যাওয়া প্রেমের বেদনাই আনে, নাকি আনে পূর্বরাতের সঙ্গম স্মৃতি, টিফিন বক্সে নাস্তা? ফেরার পথে গাড়িতে তেল নেয়ার সময় জাপানী তরুণীর এসএমএস না পেলেও কুনাল কি একা থাকত?
না, মনে হয় না।
বিভিন্ন তরুণীর সঙ্গে প্রেম আর সম্পর্কের পাশাপাশি কুনালের জীবনে তার বাবার প্রভাবের গল্পগুলো এসেছে ঘুরে ফিরে। বিয়ের গল্প লম্বা ছিল, নেহা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কের অনেক কিছু না বলা রয়ে গেছে বইতে, তবে ভারতীয় কালচারের (বিশেষ করে বিয়ে অনুষ্ঠানের) ব্র্যান্ডিং হয়েছে ভালো।
বিশেষ আগ্রহ ছিল, বিগ ব্যাং-টীমের সাথে তার যোগাযোগ কীভাবে হয়েছিল, কী ঘটেছিল।
সে চ্যাপ্টার কুনাল অল্প পরিসরে যথেষ্ঠ নাটকীয়তা নিয়ে লিখেছে।
প্রশ্ন জাগে - কেন এই বই লেখা বা কী হলো এই বই পড়ে?
এই বই মূলতঃ ভেঙে না পড়ার গল্প। বারবার ইমোশনাল ব্রেক ডাউন সামাল দেয়ার গল্প।
অঞ্জন যেমন গেয়েছে তেমন অনেক হেরে গিয়েও হার স্বীকার না করার গল্প।
কুনালের কাছে আরেকটা বইয়ের আশা থাকলো, হয়তো অনেক দিন পরে - শুধু বিগ ব্যাং থিয়রী মানুষগুলো নিয়ে লেখা হবে সে বই।
পড়বো ঐ বই।
0 মন্তব্য::
Post a Comment